প্রাথমিক তথ্য- শাকসবজির রোগসমূহ সাধারণত ৩ ভাগে বিভক্ত যথা- ছত্রাকজনিত, ব্যাকটেরিয়াজনিত ও ভাইরাসজনিত। এছাড়াও কৃমিজনিত, শরীরতাত্ত্বিক ও মাইকোপ্লাজমাজনিত রোগ আছে।
ছত্রাকজনিত রোগ- বীজ, পানি, যন্ত্রপাতি, মানুষের কাজকর্ম ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ায় ও গাছের আক্রান্ত অংশ দিয়ে গাছে আক্রমণ করে।
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ-মাটিতে পঁচনরত জৈব পদার্থে ও খাদ্য বস্তুর মধ্যে থাকে। গাছের কোন ছিদ্র বা আঘাতপ্রাপ্ত স্থান দিয়ে প্রবেশ করে।
ভাইরাসজনিত রোগ-জাবপোকা, লিফ হপার, হোয়াইট ফ্লাই ইত্যাদি রস শোষক পোকার মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে।
ছত্রাকনাশক দ্বারা ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ দমনে আক্রান্ত গাছ নিধন ব্যাকটেরিয়া বিস্তারে সহায়তাকারী গুবরে পোকা, কাটুই পাকা, ক্রিকেট, উই পোকা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অনুরুপ ভাইরাসজনিত রোগ দমনে ভাইরাস বিস্তার করে এমন পোকা যেমন- জাব পোকা, হপার, ফ্লাই ইত্যাদি দমন করতে হবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১। স্প্রে মেশিন ২। দস্তানা ৩। এপ্রোন, ৪। চশমা, ৫। ক্যাপ, ৬। গামবুট, ৭। বাতাস নির্দেশনা পতাকা, ৮। মাস্ক, ৯। বালতি/চাড়ি, ১০। বালাইনাশক ১১। কাঠি ১২। বালাইনাশক মাপার বিকার
কাজের ধাপ
১. স্প্রে মেশিনটি পরীক্ষা করে নিতে হবে, যাতে স্প্রে করায় সমস্যা না হয়। যেমন- পাম্প ঠিকমত হয় কিনা, নজল। দিয়ে স্প্রে সঠিকভাবে বের হয় কিনা, ঘাড়ে নেয়ার ফিতা ঠিক আছে কিনা ।
২. স্প্রে করতে হলে মেশিনের চারভাগের ১ ভাগ পরিষ্কার পানি দিয়ে ভরতে হবে।
৩. বালাইনাশক যতটুকু প্রয়োজন তা মেপে ৪ ভাগের ১ ভাগ মেশিনে ঢেলে কাঠি দিয়ে নড়াচাড়া
৪. এপর চারভাগের ১ ভাগ পরিষ্কার পানি মেশিনে দিয়ে নড়াচাড়া করতে হবে। করতে হবে।
৫. এবার মেশিনের নির্ধারিত দাগ পর্যন্ত পরিষ্কার পানি দিয়ে বাকী বালাইনাশক ঢেলে ভালভাবে মেশাতে হবে।
৬. বালাইনাশকের পাত্রের মুখ ভালভাবে বন্ধ করতে হবে।
৭. স্পে মেশিনে ঠিকমত পাম্প করে নিতে হবে।
৮. এবার স্প্রে মেশিনটি কাঁধে নিয়ে যে জমিতে স্প্রে করতে হয় তার আইলে দাঁড়ায়ে পতাকার কাঠি পুঁতে, ধুয়া দিয়ে বাতাসের দিক জেনে বাতাসের অনুকূলে স্প্রে করতে হবে।
৯. জমির একপ্রান্ত পর্যন্ত স্প্রে করে নজেল বন্ধ করে যে স্থানটুকু জুড়ে স্প্রে করা হয়েছে তা বাদ দিয়ে আবার বাতাসের অনুকূলে এসে স্প্রে শুরু করতে হবে।
১০. ব্যবহারিক খাতায় স্প্রে মেশিন ব্যবহার করার ধাপসমূহ এবং কখন কোন জমিতে কোন বালাইনাশক কি হারে ব্যবহার করা হলে তা লিখে রাখতে হবে।
Read more